“কমিউনিকেশন সিস্টেম ও নেটওয়ার্কিং”- জ্ঞানমূলক ও অনুধাবন প্রশ্নের সাজেশন ও উত্তর-(দ্বিতীয় অধ্যায়)-২০১৯ - ICT ONLINE TUTOR

Latest

Friday, January 4, 2019

“কমিউনিকেশন সিস্টেম ও নেটওয়ার্কিং”- জ্ঞানমূলক ও অনুধাবন প্রশ্নের সাজেশন ও উত্তর-(দ্বিতীয় অধ্যায়)-২০১৯


“কমিউনিকেশন সিস্টেম ও নেটওয়ার্কিং”- জ্ঞানমূলক ও অনুধাবন প্রশ্নের সাজেশন ও উত্তর-(দ্বিতীয় অধ্যায়)-২০১৯

দ্বিতীয় অধ্যায়
“তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিঃ কমিউনিকেশন সিস্টেম এবং নেটওয়ার্কিং”

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তরঃ-

১। কমিউনিকেশন সিস্টেম কী?
উত্তরঃ
কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার মাধ্যমে এক কম্পিউটার হতে অন্য কম্পিউটারে বিভিন্ন ডেটা, ফাইল ইত্যাদি সহজ এবং দ্রুততার সাথে আদান-প্রদানের পদ্ধতিকে ডেটা কমিউনিকেশন বলে।
২। ডেটা ট্রান্সমিশন কী?
উত্তরঃ
যে বিশেষ পদ্ধতিতে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে অথবা এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ডেটা আদান-প্রদান করা হয়। তাকে ডেটা ট্রান্সমিশন বলা হয়।
৩। ডেটা কমিউনিকেশন সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য কী কী?
উত্তরঃ
তিনটি বৈশিষ্ট্যের উপর ডেটা কমিউনিকেশনের কার্যকারিতা নির্ভর করে। যথা-
  • অ্যাকুরেসি (Accuracy): সিস্টেমকে অবশ্যই সঠিকভাবে ডেটা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ডেলিভারি বা পাঠাতে হবে।
  • ডেলিভারি (Delivery): সিস্টেমকে অবশ্যই সঠিক প্রান্তে অর্থাৎ গন্তব্যের কাছে ডেটা প্রেরণ করতে হবে।
  • টাইমলিনেস (Timeliness): নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডেটা প্রেরণ করতে হবে।
৪। ডেটা কমিউনিকেশন উপাদান সমূহের নাম লিখ। 
উত্তরঃ
মূলত ডেটা কমিউনিকেশনের উপাদান হলো পাঁচটি। যথা-
  • উৎস (Source)
  • প্রেরক (Sender)
  • মাধ্যম (Medium)
  • প্রাপক (Receiver)
  • গন্তব্য (Destination)   
। ডেটা ট্রান্সমিশন স্পীড বা ব্যান্ডউইডথ কী? 
উত্তরঃ
এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রতি একক সময়ে যে পরিমাণ ডেটা স্থানান্তরিত হয় তাকে ডেটা ট্রান্সমিশন স্পীড বলে। এই ডেটা ট্রান্সমিশন স্পীডকে ব্যান্ডউইডথ বলা হয়ে থাকে। ব্যান্ডউইডথ এর একক bps. 
। bps বলতে কী বুঝ?  
উত্তরঃ
bps এর পূর্ণরূপ হচ্ছে bit per second (bps).  ব্যান্ডউইডথ-এর হিসাব করা হয় bps এককে।  এক সেকন্ডে যতগুলো বিট এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হয়, তাকে ব্যান্ডউইডথ বলে।
। বিভিন্ন ব্যান্ডউইডথ সম্পর্কে লিখ।  
উত্তরঃ
ডেটা ট্রান্সমিশন গতির উপর ভিত্তি করে ব্যান্ডউইডথকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যথা-
  • ন্যারো ব্যান্ড (Narrow Band): Speed 45 – 300 bps 
  • ভয়েস ব্যান্ড (Voice Band): Speed 9600 bps পর্যন্ত 
  • ব্রডব্যান্ড  (Broad Band): Speed 1Mb – 1Gb পর্যন্ত হয়ে থাকে।
। ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতি কী?  
উত্তরঃ
বিট বিন্যাসের মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে অথবা এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তরের প্রক্রিয়াকে ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতি বা মেথড বলে।
। কমিউনিকেশন মাধ্যম কী?  
উত্তরঃ
ডেটা আদান-প্রদানের উদ্দেশ্যে একাধিক ডিভাইস সমূহের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য যে সকল উপাদান ব্যবহার করা হয় তাকে কমিউনিকেশন Medium বা মাধ্যম বলা হয়।
১০। বিট সিনক্রোনাইজেশন কী?  
উত্তরঃ-
ডেটা ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে সিগন্যাল পাঠানোর সময় বিভিন্ন বিটের মধ্যে সমন্বয়ের জন্য ব্যবহৃত পদ্ধতিই বিট সিনক্রোনাইজেশন নামে পরিচিত।
১১। প্যারালাল ট্রান্সমিশন কী?  
উত্তরঃ-
যে ট্রান্সমিশনে প্রেরক ও প্রাপকের মধ্যে ডেটার বিট বিন্যাস সমান্তরালভাবে আদান-প্রদান করতে পারে তাকে প্যারালাল ডেটা ট্রান্সমিশন বলে।
১২। সিরিয়াল ট্রান্সমিশন কী?  
উত্তরঃ-
যে ট্রান্সমিশনে ডেটা বা তথ্য পর্যায়ক্রমে এক বিট করে আদান-প্রদান করে তাকে সিরিয়াল ট্রান্সমিশন বলা হয়।
১৩। অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন মেথড কী?  
উত্তরঃ-
যে ডেটা ট্রান্সমিশন সিস্টেমে প্রেরক হতে গ্রাহকের নিকট ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার অথবা বিট বাই বিট ডেটা ট্রান্সমিশন করা হয় তাকে অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে।
১৪। সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন মেথড কী?  
উত্তরঃ-
যে ডেটা ট্রান্সমিশন সিস্টেমে ডেটা সমূহকে ব্লক আকারে ভাগ করে ব্লক বাই ব্লক অথবা প্যাকেট বাই প্যাকেট ট্রান্সমিশন করা হয় তাকে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে।
১৫। আইসোক্রোনাস ট্রান্সমিশন পদ্ধতি কী?  
উত্তরঃ-
সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের উন্নত ভার্সন বলা হয়ে থাকে। আইসোক্রোনাস ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে সিনক্রোনাস এবং অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন উভয়ের বৈশিষ্ট্যই বিদ্যমান থাকে। এক্ষেত্রে ডেটা ট্রান্সমিশনের দুইটি ব্লকের মধ্যবর্তী সময় ব্যবধান প্রায় শূন্য (০) একক করার চেষ্টা করা হয়। সাধারণত রিয়েল টাইম অ্যাপ্লিকেশনে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
১৬। ডেটা কমিউনিকেশন/ট্রান্সমিশন মোড কী?  
উত্তরঃ-
উৎস থেকে গন্তব্যে ডেটা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে ডেটা প্রবাহের দিককে ডেটা ট্রান্সমিশন মোড বলা হয়। ডেটা প্রবাহের উপর ভিত্তি করে ট্রান্সমিশন মোডকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যথা- সিমপ্লেক্স, হাফ-ডুপ্লেক্স এবং ফুল-ডুপ্লেক্স।
১৭। ডেটা কমিউনিকেশন/ট্রান্সমিশন মোডের প্রকারভেদ কী?  
উত্তরঃ-
মূলত ডেটা কমিউনিকেশনের বা ট্রান্সমিশনের মোড তিন ধরনের। যথা-
  • সিমপ্লেক্স (Simplex)
  • হাফ-ডুপ্লেক্স (Half-Duplex)
  • ফুল-ডুপ্লেক্স (Full-Duplex)
১৮। ডেটা কমিউনিকেশনের/ট্রান্সমিশন সিমপ্লেক্স মোডের প্রকারভেদ সমূহ লিখ?  
উত্তরঃ-
সিমপ্লেক্স ট্রান্সমিশন মোডকে আবার তিন ভাগে ভাগ করা হয়।
  • ইউনিকাস্ট (Unicast)
  • ব্রডকাস্ট (Broadcast)
  • মাল্টিকাস্ট (Multicast)
১৯। সিমপ্লেক্স মোড কী?  
উত্তরঃ-
ডেটা ট্রান্সমিশনের এই পদ্ধতিতে ডেটা শুধুমাত্র এক প্রান্ত থেকে প্রেরণ করা যায় এবং অপর প্রান্ত থেকে গ্রহণ করা যায়। অর্থাৎ ডেটা কেবলমাত্র এক দিকে প্রবাহিত হতে পারে। যেমন- পেজার সিস্টেম, রেডিও ইত্যাদি।
২০। হাফ-ডূপ্লেক্স মোড কী?  
উত্তরঃ-
ডেটা ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে দুই দিকেই অর্থাৎ প্রেরক এবং প্রাপক উভয় দিক থেকেই ডেটা ট্রান্সমিশনের সুযোগ থাকে। তবে এই ক্ষেত্রে ডেটা ট্রান্সমিশন একই সময়ে বা যুগপৎ ভাবে সম্ভব নয়। অনেকটা রাস্তা একটি কিন্তু যানবাহন দুই দিকেই যেতে সক্ষম। যেমন- ওয়াকিটকি, শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ইত্যাদি।
২১। ফুল-ডূপ্লেক্স মোড কী?  
উত্তরঃ-
যে ট্রান্সমিশন মোড ব্যবহার করে ডেটা প্রেরণ এবং গ্রহণ একই সাথে সম্পন্ন করা সম্ভব তাকে ফুল-ডুপ্লেক্স মোড বলা হয়। অনেকটা দুই লেনের রাস্তা এবং যানবাহন দুই দিকেই চলাচল করে। টেলিফোন, মোবাইল ইত্যাদি।
২২। ইউনিকাস্ট মোড কী?  
উত্তরঃ-
ডেটা কেবলমাত্র একজন প্রেরক থেকে একজন প্রাপকের দিকে ডেটা প্রবাহিত হতে পারে। যেমন-পেজার সিস্টেম
২৩। ব্রডকাস্ট মোড কী?  
উত্তরঃ-
প্রেরক সকল প্রাপকের কাছে ডেটা পাঠাতে সক্ষম। অর্থাৎ প্রেরক থেকে ডেটা প্রেরণ করলে নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত যেকোনো প্রাপক কম্পিউটার সেই ডেটা গ্রহণ করতে পারে। যেমন- Television, রেডিও।
২৪। মাল্টিকাস্ট মোড কী?  
উত্তরঃ-
এক্ষেত্রে সকল প্রাপক কম্পিউটার ডেটা পেতে সক্ষম, কিন্তু তারাই নির্দিষ্ট ডেটা দেখতে পারবে যাদেরকে নেটওয়ার্ক অনুমতি দেয়। উদাহরণ- Tele-conferencing, Video-conferencing
২৫। অ্যানিকাস্ট মোড কী?  
উত্তরঃ-
এই ব্যবস্থায় একটি প্রেরক থেকে সম্ভাব্য প্রাপকদের মধ্যে থেকে টপোলজিক্যালি নিকটতম একটিমাত্র প্রাপকই ডেটা গ্রহণ করতে সক্ষম। এটি এক ধরনের বিশেষ ইউনিকাস্ট মোড। ইহাকে 1 to 1 of many Association ও বলা হয়ে থাকে।
২৬। জিওকাস্ট মোড কী?  
উত্তরঃ-
যে ডেটা ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে ডেটা সমূহ ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী স্থানান্তরিত হয় তাকে জিওকাস্ট মোড বলে। এক্ষেত্রে প্রেরক থেকে ডেটা যেকোনো ভৌগলিক অবস্থানের সকল প্রাপকই গ্রহণ করতে পারে। এটি এক ধরনের বিশেষ মাল্টিকাস্ট মোড।
২৭। ডেটা ট্রান্সমিশন মাধ্যম (Medium) কী?  
উত্তরঃ-
ডেটা আদান-প্রদানের উদ্দেশ্যে একাধিক ডিভাইস সমূহের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য যে সকল উপাদান ব্যবহার করা হয় তাকে কমিউনিকেশন Medium বা মাধ্যম বলা হয়। এই সংযোগ সমূহ সাধারণত চ্যানেল নামে পরিচিত। দুই ধরনের ট্রান্সমিশন মাধ্যম রয়েছে- গাইডেড মিডিয়া এবং আনগাইডেড মিডিয়া।
২৮। গাইডেড মাধ্যম (Medium) কী?  
উত্তরঃ-
গাইডেড মাধ্যমঃ কোন সলিড ধাতব মাধ্যমের সাহায্যে ডেটা ট্রান্সমিশন ব্যবস্থাকে তার মাধ্যম বা গাইডেড মিডিয়া বলে। সাধারণত টেলিফোনের ক্যাবল বা তার, ফাইবার অপটিক ক্যাবল ইত্যাদি মাধ্যম গাইডেড মিডিয়াম নামে পরিচিত। ইহাকে তারযুক্ত মাধ্যমও বলা হয়।
২৯। আনগাইডেড মাধ্যম (Medium) কী?  
উত্তরঃ-
আনগাইডেড মাধ্যমঃ Wireless Medium এর বাংলা অর্থ তারবিহীন মাধ্যম। কোন ফিজিক্যাল কানেকশন বা ক্যাবল ব্যবহার না করে তথ্য আদান-প্রদানের ব্যবস্থাকে তারবিহীন মাধ্যম বলে। সাধারণত বেতার তরঙ্গ, মাইক্রোওয়েভ, ভূ-উপগ্রহ ব্যবস্থা। ইনফ্রারেড ইত্যাদি আনগাইডেড মিডিয়াম নামে পরিচিত। ইহাকে তারবিহীন মাধ্যমও বলা হয়।
৩০। কো-এক্সিয়াল ক্যাবল কী?  
উত্তরঃ-
এক ধরনের তামার তৈরি বিদ্যুৎ পরিবাহী তার। দুইটি বিদ্যুৎ পরিবাহী এবং দুইটি বিদ্যুৎ অপরিবাহী পদার্থ দ্বারা তৈরি ক্যাবল। ভিতরের বিদ্যুৎ পরিবাহী তামার তারকে ঢেকে রাখা এবং বাইরের বিদ্যুৎ পরিবাহী তার থেকে পৃথক রাখার জন্য এদের মাঝে সাদা প্লাস্টিকের বিদ্যুৎ অপরিবাহী বা অন্তরক পদার্থ থাকে। বাইরের পরিবাহী তারটিকে বাইরে থেকে ঢেকে রাখার জন্য সাধারণত কালো প্লাস্টিকের জ্যাকেট ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
৩১। থিননেট কী?  
উত্তরঃ-
চিপনেট (Cheapernet), থিন ইথারনেট বা থিনওয়্যার নামেও পরিচিত। ব্যাস .২৫ ইঞ্চি হয়, দামে সস্তা। 10BASE2 ইথারনেট নামে বেশি পরিচিত। 10BASE2 দ্বারা বোঝায়, ব্যান্ডউইডথ 10Mbps এবং 200 মিটার পর্যন্ত সর্বোচ্চ গতিতে ডেটা পাঠাতে পারে। এই ধরনের ক্যাবল ভারী, মোটা এবং নন-ফ্লেক্সিবল হয়।
৩২। থিকনেট কী?  
উত্তরঃ-
থিক ইথারনেট (Thick Ethernet) নামেও পরিচিত। ব্যাস .৫০ ইঞ্চি হয়, দামে তুলনামূলক বেশি। 10BASE5 ইথারনেট নামে বেশি পরিচিত। 10BASE5 দ্বারা বোঝায়, ব্যান্ডউইডথ 10 Mbps এবং 500 মিটার পর্যন্ত সর্বোচ্চ গতিতে ডেটা পাঠাতে পারে। এই ধরনের ক্যাবল হালকা ও ফ্লেক্সিবল বা নমনীয় হয়।
৩৩। থিকনেট কী?  
উত্তরঃ-
৩৪। টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল বা Twisted Pair Cable কী?  
উত্তরঃ-
৩৫। UTP এবং STP কী?  
উত্তরঃ-
৩৬। CAT-6 কী?  
উত্তরঃ-

অনুধাবন প্রশ্ন ও উত্তরঃ-

১। মডেমকে ডেটা কমিউনিকেশনের উপাদান বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর। 
উত্তরঃ–
ডেটা কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে উৎস, প্রেরক, মিডিয়া বা মাধ্যম, প্রাপক এবং গন্তব্য এই পাঁচটি উপাদান প্রয়োজন হয়। এই ডেটা কমিউনিকেশন ব্যবস্থায় উৎস কম্পিউটারে সৃষ্ট ডিজিটাল সংকেত বা সিগন্যাল মডুলেশনের মাধ্যমে অ্যানালগ সংকেতে পরিণত হয়, যা মিডিয়া বা মাধ্যম ব্যবহার করে প্রাপকের কাছে পৌঁছায়। আবার প্রাপক সেই অ্যানালগ সংকেতকে ডিমডুলেশনের মাধ্যমে ডিজিটাল সংকেতে রূপান্তর করে গন্তব্যে প্রেরণ করে। আমরা জানি, মডেম ডিজিটাল সংকেতকে মডুলেশনের মাধ্যমে অ্যানালগ এবং ডিমডুলেশনের মাধ্যমে অ্যানালগ সংকেতকে ডিজিটাল সংকেতে পরিণত করতে সক্ষম। MODEM-এর পূর্ণরূপ হচ্ছে MO=Modulation এবং DEM=Demodulation।
২। ডেটা কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে প্রেরক ও প্রাপকের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।  
উত্তরঃ–
আমরা জানি, ডেটা কমিউনিকেশনের মৌলিক উপাদান পাঁচটি। যথা- উৎস, প্রেরক, মিডিয়া বা মাধ্যম, প্রাপক এবং গন্তব্য।  ডেটা কমিউনিকেশন ব্যবস্থায় প্রেরকের কাজ হচ্ছে উৎস কম্পিউটারে সৃষ্ট ডিজিটাল সংকেত বা সিগন্যাল মডুলেশনের মাধ্যমে অ্যানালগ সংকেতে পরিণত করা, যা মিডিয়া বা মাধ্যম ব্যবহার করে প্রাপকের কাছে পৌঁছায়। আবার প্রাপক সেই অ্যানালগ সংকেতকে গ্রহণ করে ডিমডুলেশনের মাধ্যমে ডিজিটাল সংকেত বা কম্পিউটারের বোধগম্য ভাবে রূপান্তর করে গন্তব্যে প্রেরণ করে।
৩। ডেটা ট্রান্সমিশন স্পীড ব্যাখ্যা কর। 
উত্তরঃ
একক সময়ের মধ্যে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে অথবা এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে বিভিন্ন মাধ্যমের মধ্য দিয়ে ডেটা স্থানান্তরের হারকে ডেটা ট্রান্সমিশন স্পীড বলা হয়। ডেটা ট্রান্সমিশন স্পীডকে ব্যান্ডউইডথ ও বলা হয়ে থাকে। এই ব্যান্ডউইডথ-এর ক্ষুদ্রতম একক হচ্ছে Bit Per Second (bps)। অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে যতগুলো  বিট ট্রান্সমিশন করা হয় তাহাই bps। গতির উপর ভিত্তি করে ডেটা ট্রান্সমিশন স্পীড কে তিন ভাগে ভাগ করা হয়-
  • ন্যারো ব্যান্ড (Narrow Band): 45 to 300 bps
  • ভয়েস ব্যান্ড (Voice Band): 9600 bps পর্যন্ত 
  • ব্রড ব্যান্ড (Broad Band): 1 Mbps to 1 Gbps
৪। 9600 bps কী? ব্যাখ্যা কর।  
উত্তরঃ
একক সময়ে এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইস বা এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তরের হারকে ডেটা ট্রান্সমিশন স্পীড বলে। একে ব্যান্ডউইডথ ও বলা হয়ে থাকে যার একক  Bit Per Second (bps)। 9600 bps বলতে বোঝায় প্রতি সেকেন্ডে 9600 বিট  ডেটা এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে স্থানান্তরিত হয়। উদাহরণ- টেলিফোন লাইনে ভয়েস ব্যান্ড বা Voice Band ডেটা ট্রান্সমিশন স্পীডের।
৫। ব্যান্ডউইডথ 512 Kbps বলতে কী বুঝায়? ব্যাখ্যা কর।  
উত্তরঃ
একক সময়ে এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইস বা এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তরের হারকে ডেটা ট্রান্সমিশন স্পীড বলে। একে ব্যান্ডউইডথ ও বলা হয়ে থাকে যার একক  Bit Per Second (bps)। 512 Kbps বলতে বোঝায় প্রতি সেকেন্ডে 512 কিলোবিট অর্থাৎ ৫১২০০০ বিট ডেটা এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে স্থানান্তরিত হয়।
৬। কী-বোর্ড থেকে কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ব্যান্ডউইডথ ব্যাখ্যা কর।   
উত্তরঃ
কী-বোর্ড থেকে কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে ভয়েস ব্যান্ড ব্যবহৃত হয়। সাধারণত 9600 bps বা 9.6 kbps পর্যন্ত ডেটা স্থানান্তরে ব্যবহৃত ব্যান্ডউইডথ ভয়েস ব্যান্ড নামে পরিচিত। এই ধরনের ব্যান্ডউইডথ সাধারণত টেলিফোন লাইনে বেশি ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও বর্তমানে কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে ব্যবহৃত বিভিন্ন পেরিফেরাল যন্ত্রপাতি যেমন- প্রিন্টার,  কী-বোর্ড থেকে কম্পিউটার, কার্ড রিডার থেকে কম্পিউটার ইত্যাদি ক্ষেত্রে ডেটা আদান-প্রদানে ভয়েস ব্যান্ড ব্যবহার করা হয়।
৭। কম ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য কোন ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়? ব্যাখ্যা কর।  
উত্তরঃ
যে ডেটা ট্রান্সমিশন সিস্টেমে ডেটা প্রেরক হতে গ্রাহকের নিকট ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার অথবা বিট বাই বিট ট্রান্সমিশন করা হয় তাকে অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে। সাধারণত Narrow band ব্যান্ডউইডথ-এ ডেটা ট্রান্সমিশন করার ক্ষেত্রে ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার ট্রান্সমিশন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতিতে প্রেরক কম্পিউটার হতে গ্রাহক কম্পিউটারে ডেটা Character by Character অর্থাৎ Bit by Bit ট্রান্সমিট হয় ফলে সময় বেশি লাগে। ডেটা ট্রান্সমিশন স্পীড কম থাকে বলে, কম ডেটা ট্রান্সমিশনে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
৮। “অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে সময় বেশি লাগে”-ব্যাখ্যা কর।   
উত্তরঃ
যে ডেটা ট্রান্সমিশন সিস্টেমে প্রেরক হতে গ্রাহকের নিকট ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার অথবা বিট বাই বিট ডেটা ট্রান্সমিশন করা হয় তাকে অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে। অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে সময় বেশি লাগে। কারন-
  • এ পদ্ধতিতে প্রেরক কম্পিউটার হতে গ্রাহক কম্পিউটারে ডেটা Character by Character অর্থাৎ Bit by Bit ট্রান্সমিট হয় ফলে সময় বেশি লাগে।
  • প্রতিটি ক্যারেক্টারের শুরু এবং শেষ বোঝার জন্য শুরুতে একটি Start bit এবং শেষে একটি Stop bit প্রয়োজন হয়।
  • স্পীড কম হয়ে থাকে।
৯। “সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন ব্যয়বহুল পদ্ধতি”-ব্যাখ্যা কর।   
উত্তরঃ
১০। “ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার ডেটা ট্রান্সমিশন সম্ভব”-ব্যাখ্যা কর।   
উত্তরঃ
যে ডেটা ট্রান্সমিশন সিস্টেমে প্রেরক হতে গ্রাহকের নিকট ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার অথবা বিট বাই বিট ডেটা ট্রান্সমিশন করা হয় তাকে অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে। সাধারণত Narrow band ব্যান্ডউইডথ-এ ডেটা ট্রান্সমিশন করার ক্ষেত্রে ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার ট্রান্সমিশন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এ পদ্ধতিতে প্রেরক কম্পিউটার হতে গ্রাহক কম্পিউটারে ডেটা Character by Character অর্থাৎ Bit by Bit ট্রান্সমিট হয় ফলে সময় বেশি লাগে। ডেটা ট্রান্সমিশন স্পীড কম থাকে অর্থাৎ কম ডেটা ট্রান্সমিশনে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
১১। সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে প্রাইমারি মেমোরির প্রয়োজন কেন?-ব্যাখ্যা কর।   
উত্তরঃ
যে ডেটা ট্রান্সমিশন সিস্টেমে ডেটা সমূহকে ব্লক আকারে ভাগ করে ব্লক বাই ব্লক অথবা প্যাকেট বাই প্যাকেট ট্রান্সমিশন করা হয় তাকে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে। এই ট্রান্সমিশন ব্যবস্থায় প্রেরক যন্ত্রে একটি প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইস ব্যবহার করা হয় যাতে করে প্রেরিত ডেটা সমূহ ব্লক আকার ধারণ করতে পারে। প্রতিটি প্যাকেট বা ব্লকে ৮০-১৩২ টি বিট সংরক্ষণ করা যায়। প্রতিটি প্যাকেট বা ব্লক প্রয়োজনীয় বিট দ্বারা সম্পন্ন করতে এই প্রাইমারি মেমোরি প্রয়োজন হয়।
১২। “ডেটা ব্লক আকারে ট্রান্সমিশন করা হয়”-ব্যাখ্যা কর।   
উত্তরঃ
ডেটা ট্রান্সমিশন সিস্টেমে ডেটা সমূহকে ব্লক আকারে ভাগ করে ব্লক বাই ব্লক অথবা প্যাকেট বাই প্যাকেট ট্রান্সমিশন করা হলে তাকে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে। এক্ষেত্রে প্রতিটি ব্লক বা প্যাকেটে ৮০-১৩২ টি বিট রাখার জায়গা থাকে। ব্লক সমূহ প্রাথমিক ভাবে সংরক্ষণ করার জন্য প্রেরক স্টেশনে স্টোরেজ ডিভাইস প্রয়োজন হয়। প্রতি দুইটি ব্লকের মাঝখানের বিরতি বা Time Interval একই হয়ে থাকে। প্রতিটি ব্লকের শুরুতে একটি হেডার ফাইল এবং ডেটার শেষে একটি ট্রেইলার ফাইল পাঠাতে হয়।
১৩। “অ্যাসিনক্রোনাসের তুলনায় সিনক্রোনাস পদ্ধতিতে ডেটা চলাচলের গতি বেশি”-ব্যাখ্যা কর।   
উত্তরঃ
অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে ডেটা চলাচলের গতি তুলনামূলক কম। কারণ-
  • এই পদ্ধতিতে প্রেরক কম্পিউটার হতে গ্রাহক কম্পিউটারে ডেটা Character by Character অর্থাৎ Bit by Bit ট্রান্সমিট হয়, ফলে সময় বেশি লাগে।
  • প্রতিটি ক্যারেক্টারের শুরু এবং শেষ বোঝার জন্য শুরুতে একটি Start bit এবং শেষে একটি Stop bit প্রয়োজন হয়।
  • স্পীড কম হয়ে থাকে।
অপরদিকে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে ডেটা চলাচলের গতি তুলনামূলক বেশি থাকে। কেননা-
  • এই পদ্ধতিতে প্রেরক কম্পিউটার হতে গ্রাহক কম্পিউটারে ডেটা Block by block অর্থাৎ Packet by Packet ট্রান্সমিট হয়।
  • প্রতিটি প্যাকেটে ৮০-১৩২ টি বিট সংরক্ষণের জায়গা থাকে। ফলে এক সাথে অনেক বিট প্রেরণ করা সম্ভব হয়।
  • ব্লক সমূহের মধ্যবর্তী সময় ব্যবধান একই থাকে।
১৪। “ডেটা ট্রান্সমিশনের সময় ব্যবধান(Time Interval) সমান”-ব্যাখ্যা কর।   
উত্তরঃ
যে ডেটা ট্রান্সমিশন সিস্টেমে ডেটা সমূহকে ব্লক আকারে ভাগ করে ব্লক বাই ব্লক অথবা প্যাকেট বাই প্যাকেট ট্রান্সমিশন করা হয় তাকে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে। প্রতিটি ব্লকে 80-132 টি বিট থাকে। প্যাকেটের শুরু এবং শেষ বোঝার জন্য যথাক্রমে একটি Header এবং একটি Trailer ব্যবহার করা হয়। সিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশনের প্রতিটি প্যাকেটের মধ্যবর্তী সময় ব্যবধান সর্বদা একই থাকে।
১৫। “আইসোক্রোনাস ট্রান্সমিশন সিনক্রোনাসের উন্নত ভার্সন”-ব্যাখ্যা কর।   
উত্তরঃ
অ্যাসিনক্রোনাস এবং সিনক্রোনাস উভয় পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য সমূহ বিদ্যমান থাকে। সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের উন্নত ভার্সন বলা হয়ে থাকে।
  • ডেটা প্রেরণ করে ব্লক আকারে যা সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য এবং সময় ব্যবধান প্রায় একই থাকে।
  • দু’টি ব্লকের মধ্যে সময়ের পার্থক্য 0 (শূন্য) একক করার চেষ্টা করা হয়। সাধারণত রিয়েল টাইম অ্যাপ্লিকেশনের ডেটা ট্রান্সফারে এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
১৬। টেলিভিশন(TV) সম্প্রচারের জন্য ব্যবহৃত মোড ব্যাখ্যা কর।   
উত্তরঃ
TV সম্প্রচারের জন্য ব্যবহৃত ডেটা ট্রান্সমিশন মোড হচ্ছে সিমপ্লেক্স। ডেটা ট্রান্সমিশনের এই পদ্ধতিতে ডেটা শুধুমাত্র এক প্রান্ত থেকে প্রেরণ করা যায় এবং অপর প্রান্ত থেকে গ্রহণ করা যায় অর্থাৎ ডেটা কেবলমাত্র এক দিকে প্রবাহিত হতে পারে। এক্ষেত্রে টেলিভিশন নেটওয়ার্ক চ্যানেল শুধু ডেটা পাঠাতে পারে এবং টেলিভিশনের দর্শক বা শ্রোতা শুধুমাত্র ডেটা গ্রহণ করতে পারে কখনোই ডেটা প্রেরণ করতে পারে না। আরও অনেক ক্ষেত্রে ডেটা প্রেরণের সময় সিমপ্লেক্স মোড ব্যবহার করা হয়। যেমন- পেজার সিস্টেম, রেডিও ইত্যাদি।

১৭। শ্রেণিকক্ষে পাঠদানকে কোন ট্রান্সমিশন মোডের সাথে তুলনা করা যায়? ব্যাখ্যা কর।   
উত্তরঃ-
শ্রেণিকক্ষে পাঠদান পদ্ধতিকে হাফ-ডুপ্লেক্স ডেটা ট্রান্সমিশন মোডের সাথে তুলনা করা হয়। এই ধরনের মোডে উভয় দিক থেকে ডেটা আদান-প্রদানের ব্যবস্থা থাকে কিন্তু তা একসাথে সম্ভব নয়। অর্থাৎ প্রেরক ডেটা পাঠানো সম্পন্ন করলে প্রাপক সেই ডেটা গ্রহণ করার পর প্রেরকের কাছে ডেটা পাঠাতে পারে। শ্রেণিকক্ষে যখন শিক্ষক কথা বলেন, সকল শিক্ষার্থী তা মনোযোগ দিয়ে শোনেন। আবার কেউ প্রশ্ন করলে শিক্ষক তা শুনে প্রশ্নের উত্তর শিক্ষার্থীকে বুঝিয়ে দেন।
১৮। “ওয়াকিটকিতে যুগপৎ কথা বলা ও শোনা সম্ভব নয়”- ব্যাখ্যা কর।   
উত্তরঃ-
ওয়াকিটকিতে কথা বলা এবং শোনার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ডেটা ট্রান্সমিশন মোড হচ্ছে হাফ-ডুপ্লেক্স। এই ধরনের মোডে উভয় দিক থেকে ডেটা আদান-প্রদানের ব্যবস্থা থাকে কিন্তু তা একসাথে সম্ভব নয়। অর্থাৎ প্রেরক ডেটা পাঠানো সম্পন্ন করলে প্রাপক সেই ডেটা গ্রহণ করার পর প্রেরকের কাছে ডেটা পাঠাতে পারে। ওয়াকিটকিতে একই ধরনের কার্য সম্পন্ন হয়। দুইটি ওয়াকিটকি দ্বারা কথা বলার সময় এক পক্ষের কথা শেষ হলে অপর পক্ষ কথা শুরু করে। অর্থাৎ এক সাথে বা যুগপৎ কথা বলা এবং শোনা সম্ভব নয়। 

১৯। “ব্রাউজারে একই সাথে উভয় দিক থেকে ডেটা আদান-প্রদান সম্ভব নয়”- ব্যাখ্যা কর।   
উত্তরঃ-
ব্রাউজারে ডেটা আদান-প্রদানের জন্য ব্যবহৃত ডেটা ট্রান্সমিশন মোড হচ্ছে হাফ-ডুপ্লেক্স। এই ধরনের মোডে উভয় দিক থেকে ডেটা আদান-প্রদানের ব্যবস্থা থাকে কিন্তু তা একসাথে সম্ভব নয়। অর্থাৎ প্রেরক ডেটা পাঠানো সম্পন্ন করলে প্রাপক সেই ডেটা গ্রহণ করার পর প্রেরকের কাছে ডেটা পাঠাতে পারে।
২০। “মোবাইল ফোনের ডেটা ট্রান্সমিশন মোডটি ব্যাখ্যা কর।   
উত্তরঃ-
মোবাইল ফোনের ডেটা ট্রান্সমিশন মোড হলো ফুল-ডুপ্লেক্স। যে ট্রান্সমিশন মোড ব্যবহার করে ডেটা প্রেরণ এবং গ্রহণ উভয় একই সাথে সম্পন্ন করা সম্ভব তাকে ফুল-ডুপ্লেক্স মোড বলা হয়। বর্তমানে আমরা সাচ্ছন্দে কথা বলা বা শোনার জন্য যেসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকি, তা সবই ফুল-ডুপ্লেক্স মোডে কাজ করে। এই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রেরক ও গ্রাহক একই সাথে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে।

২০। ডেটা ট্রান্সমিশন মাধ্যম ব্যাখ্যা কর।   
উত্তরঃ-
ডেটা আদান-প্রদানের উদ্দেশ্যে একাধিক ডিভাইস সমূহের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য যে সকল উপাদান ব্যবহার করা হয় তাকে কমিউনিকেশন Medium বা মাধ্যম বলা হয়। এই সংযোগ সমূহ সাধারণত চ্যানেল নামে পরিচিত। দুই ধরনের ট্রান্সমিশন মাধ্যম রয়েছে- গাইডেড মিডিয়া এবং আনগাইডেড মিডিয়া।
গাইডেড মাধ্যমঃ 
ডেটা কমিউনিকেশনে ক্যাবল বা তার মাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ইহাকে গাইডেড মিডিয়াও বলা হয়ে থাকে। কারণ এই ধরনের মাধ্যম দ্বারা কেবলমাত্র নির্দেশিত পথেই বৈদ্যুতিক বা আলোক সংকেত প্রাপকের কাছে প্রেরণ সম্ভব। সাধারণত টেলিফোনের ক্যাবল বা তার, ফাইবার অপটিক ক্যাবল ইত্যাদি মাধ্যম গাইডেড মিডিয়াম নামে পরিচিত। ইহাকে তারযুক্ত মাধ্যমও বলা হয়।

আনগাইডেড মাধ্যমঃ Wireless Medium এর বাংলা অর্থ তারবিহীন মাধ্যম। কোন ফিজিক্যাল কানেকশন বা ক্যাবল ব্যবহার না করে তথ্য আদান-প্রদানের ব্যবস্থাকে তারবিহীন মাধ্যম বলে। সাধারণত বেতার তরঙ্গ, মাইক্রোওয়েভ, ভূ-উপগ্রহ ব্যবস্থা। ইনফ্রারেড ইত্যাদি আনগাইডেড মিডিয়াম নামে পরিচিত। ইহাকে তারবিহীন মাধ্যমও বলা হয়।
২১। কো-অ্যাক্সিয়াল ক্যাবলের বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর।    
উত্তরঃ-
  • এক ধরনের তামার তৈরি বিদ্যুৎ পরিবাহী তার।
  • দুইটি বিদ্যুৎ পরিবাহী এবং দুইটি বিদ্যুৎ অপরিবাহী পদার্থ দ্বারা তৈরি ক্যাবল।
  •  ভিতরের বিদ্যুৎ পরিবাহী তামার তারকে ঢেকে রাখা এবং বাইরের বিদ্যুৎ পরিবাহী তার থেকে পৃথক রাখার জন্য এদের মাঝে সাদা প্লাস্টিকের বিদ্যুৎ  অপরিবাহী বা অন্তরক পদার্থ থাকে।
  • বাইরের পরিবাহী তারটিকে বাইরে থেকে ঢেকে রাখার জন্য সাধারণত কালো প্লাস্টিকের জ্যাকেট ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
  • ভিতরের পরিবাহী তারটি সোজা থাকে কিন্তু বাইরের পরিবাহী তারটি চারদিক থেকে পেঁচানো থাকে।
২২। কো-অ্যাক্সিয়াল ক্যাবলের সুবিধা-অসুবিধা ব্যাখ্যা কর।    
উত্তরঃ-
সুবিধা সমূহ বা ইতিবাচক দিকঃ- 
  • তুলনামূলকভাবে দামে সস্তা।
  • সহজে বহন যোগ্য
  • অ্যানালগ ও ডিজিটাল উভয় ধরনের ডেটা ট্রান্সমিশন সম্ভব।
  • ডেটা আদান-প্রদানের সময় আবহাওয়ার কোন প্রভাব পরে না।
  • অধিক দূরত্বে ডেটা প্রেরণ করা যায়।
  • ডেটা ট্রান্সমিশন LOSS অপেক্ষাকৃত কম।
অসুবিধা সমূহ বা নেতিবাচক দিকঃ-
  • টুইস্টেড ক্যাবলের তুলনায় ব্যয়বহুল
  • নির্দিষ্ট দূরত্ব পর পর রিপিটার ব্যবহার করতে হয়।
  • নেটওয়ার্ক তৈরি করতে ব্যবহৃত ডিভাইস সমূহের সাথে যুক্ত করা তুলনামূলক জটিল
ব্যবহারঃ-
  • টেলিভিশন নেটওয়ার্ক সম্প্রচার
  • ডিশ টিভি বা ক্যাবল টিভি সম্প্রচার
  • সিসি টিভি নেটওয়ার্ক
  • কম্পিউটার নেটওয়ার্ক
  • মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক (MAN) তৈরিতে
২৩। RJ45 কানেক্টর কোন ধরনের ক্যাবলে ব্যবহৃত হয়? ব্যাখ্যা কর।     
উত্তরঃ-
২৪। ডেটা আলো আকারে প্রেরণে ব্যবহৃত ক্যাবলের গঠন ব্যাখ্যা কর।      
উত্তরঃ-
২৫। “আলোর গতিতে ডেটা আদান-প্রদান সম্ভব”- ব্যাখ্যা কর।
অথবা
“ডেটা ট্রান্সমিশনে আলোকরশ্মি পরিবাহী তার ব্যবহার উত্তম”-ব্যাখ্যা কর।        
উত্তরঃ-
২৬। “পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন পদ্ধতিতে ডেটা আদান-প্রদান সম্ভব”- ব্যাখ্যা কর।       
উত্তরঃ-
ফাইবার অপটিক ক্যাবলের মধ্য দিয়ে পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ডেটা আদান-প্রদান করে। এই ক্যাবল ইলেক্ট্রিক সিগন্যালের পরিবর্তে আলোক সিগন্যাল ট্রান্সমিট করে। একগুচ্ছ আলোক রশ্মি এই ধরনের অপটিক ক্যাবলের মধ্য দিয়ে প্রেরণ করা সম্ভব। আলোক রশ্মি কোর এবং ক্ল্যাডিং-এর বিভেদতলে পড়লে প্রতিফলিত হয়। এভাবে বার বার পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের মাধ্যমে আলো গ্রাহক যন্ত্রে ধরা পড়ে। গ্রাহক যন্ত্রে দুইটি অংশের একটি হচ্ছে ফটো ডিটেকটর যা ফাইবার ক্যাবল থেকে আলোক রশ্মি গ্রহণ করে এবং অপর অংশ প্রসেসিং ইউনিটের মাধ্যমে আলোক শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর করে।
২৭। ডেটা দ্রুত আদান-প্রদানে কোন ধরনের ক্যাবল ব্যবহার সুবিধাজনক? ব্যাখ্যা কর।        
উত্তরঃ-
২৮। “ফাইবার অপটিক ক্যাবল ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ইন্টারফেরেন্স (EMI) প্রভাব মুক্ত”- ব্যাখ্যা কর।        
উত্তরঃ-
২৯। ডেটা দ্রুত আদান-প্রদানে কোন ধরনের ক্যাবল ব্যবহার সুবিধাজনক? ব্যাখ্যা কর।        
উত্তরঃ-

1 comment:

  1. ৩৫ এর উত্তর হলো : UTP :- Unshielded Twisted Pair
    STP :- Shielded Twisted pair

    ReplyDelete