“তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি”- জ্ঞানমূলক ও অনুধাবন প্রশ্নের সাজেশন ও উত্তর-(প্রথম অধ্যায়)-২০১৯ - ICT ONLINE TUTOR

Latest

Friday, January 4, 2019

“তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি”- জ্ঞানমূলক ও অনুধাবন প্রশ্নের সাজেশন ও উত্তর-(প্রথম অধ্যায়)-২০১৯




“তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি”- জ্ঞানমূলক ও অনুধাবন প্রশ্নের সাজেশন ও উত্তর-(প্রথম অধ্যায়)-২০১৯

প্রথম অধ্যায়
“তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিঃ বিশ্ব ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত”

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তরঃ-

১। ডেটা বা উপাত্ত কী? 
উত্তরঃ-
Data শব্দ এসেছে Datum থেকে। ডেটা শব্দের অর্থ Fact। ডেটা সুনির্দিষ্ট কোনো অর্থ বহন করে না। বরং কোনো বিষয় সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট ধারণা বা আউটপুট পাওয়ার জন্য প্রক্রিয়াকরণে ব্যবহৃত কাঁচামাল বা Raw Materials ডেটা নামে পরিচিত।  তথ্যের ক্ষুদ্রতম একক হচ্ছে ডেটা।
২। তথ্য বা ইনফরমেশন কী? 
উত্তরঃ-
Information শব্দটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ  informatio থেকে। ডেটা প্রক্রিয়াকরণ পরবর্তী অর্থবহ রূপ হলো ইনফরমেশন বা তথ্য। এটি সুনির্দিষ্ট অর্থ বহন করে এবং ডেটার উপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ কোনো বিশেষ ক্ষেত্রে ডেটাকে সুশৃঙ্খলভাবে সজ্জিত, সহজবোধ্য, অর্থবহ ও ব্যবহারযোগ্য করাই হলো তথ্য বা ইনফরমেশন।
৩। ইন্টারনেট কী? 
উত্তরঃ-
ইন্টারনেট হলো বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে গঠিত একটি বৃহৎ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা। সহজভাবে, বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন কম্পিউটারে তথ্য আদান-প্রদান বা যোগাযোগের ব্যবস্থাকে ইন্টারনেট বলে।
৪। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কী? 
উত্তরঃ-
যেকোনো প্রকারের তথ্যের উৎপত্তি, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, সঞ্চালন এবং বিচ্ছুরণে ব্যবহৃত সকল ইলেক্ট্রনিক প্রযুক্তিকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বলে। সংক্ষেপে একে আইসিটি বা ICT বলা হয়।
৫। গ্লোবাল ভিলেজ বা বিশ্বগ্রাম কী? 
উত্তরঃ-
বিশ্বগ্রাম বলতে এমন একটি ধারণাকে বোঝানো হয় যেখানে পৃথিবীর সকল মানুষই একটি একক সমাজে বসবাস করে এবং ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে একে অপরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে ক্রমেই একটি একক কমিউনিটিতে পরিণত হয়।
৬। বিশ্বগ্রাম ধারণার প্রবর্তক কে? তাঁর রচিত কোন গ্রন্থসমূহে বিশ্বগ্রামের ধারণা রয়েছে?
উত্তরঃ-
বিশ্বকে একটি গ্রামের সাথে প্রথম তুলনা করা হয় ইন্টারনেট আবিষ্কারের প্রায় ৩০ বছর পূর্বে। আর এই ধারণাটি দেন বিখ্যাত দার্শনিক হারবার্ট মার্শাল ম্যাক্লুহান। তিনি কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক (জন্ম-২১ জুলাই, ১৯১১ এবং মৃত্যু-৩১ ডিসেম্বর, ১৯৮০)
তাঁর রচিত গ্রন্থ দুটি হলো-
  • “The Gutenberg Galaxy: The Making of Typographic Man”-(1962)
  • “Understand Media”-(1964)
৭। বিশ্বগ্রাম প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় বা প্রধান উপাদান সমূহ কী কী?  
উত্তরঃ-
বিশ্বগ্রাম প্রতিষ্ঠার মূলে রয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। নিম্নে বিশ্বগ্রাম প্রতিষ্ঠার প্রধান উপাদানসমূহ উল্লেখ করা হলো-
  • হার্ডওয়্যার বা Hardware
  • সফটওয়্যার বা Software
  • ডেটা বা Information
  • নেটওয়ার্ক সংযুক্তি বা Connectivity
  • মানুষের সক্ষমতা বা Human Capacity
৮। বিশ্বগ্রাম ধারণা সংশ্লিষ্ট প্রধান উপাদান সমূহ কী কী?  
উত্তরঃ-
বিশ্বগ্রাম ধারণাটি নিম্নোক্ত বিষয়গুলোতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। বিশ্বগ্রাম ধারণা সংশ্লিষ্ট প্রধান উপাদানগুলো হলো-
  • যোগাযোগ
  • কর্মসংস্থান
  • শিক্ষা
  • চিকিৎসা
  • গবেষণা
  • অফিস
  • বাসস্থান
  • ব্যবসা-বাণিজ্য
  • সংবাদ
  • বিনোদন ও সামাজিক যোগাযোগ
  • সাংস্কৃতিক বিনিময়
৯। টেলিকনফারেন্সিং কী?  
উত্তরঃ-
ভিন্ন ভৌগোলিক দূরত্বে অবস্থান করেও টেলিফোন বা মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে একাধিক ব্যক্তি একে অন্যের সাথে তথ্য আদান-প্রদান করতে ব্যবহৃত প্রযুক্তি টেলিকনফারেন্সিং নামে পরিচিত। মাইক্রোফোন, স্পিকার এবং যোগাযোগের ব্যবহৃত সফটওয়্যার প্রয়োজন।
১০। ভিডিওকনফারেন্সিং কী?  
উত্তরঃ-
যে ইলেক্ট্রনিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় মনিটর বা পর্দায় অংশগ্রহণকারী সকলে পরস্পরের সম্মুখীন হয়ে একে অন্যকে দেখার মাধ্যমে কথোপকথনে অংশগ্রহণ করে। সে ব্যবস্থাকে ভিডিও-কনফারেন্সিং বলা হয়।
১১। ই-মেইল কী?  
উত্তরঃ-
ই-মেইল এর পূর্ণরূপ হলো Electronic Mail(ইলেক্ট্রনিক মেইল)। এটি একটি বিশেষ পদ্ধতি যা ব্যবহারে দ্রুতগতিতে এবং কম খরচে ডেটা আদান-প্রদান করা যায়। Yahoo, G-mail, Hot mail ইত্যাদি।
১২। আউটসোর্সিং কী?  
উত্তরঃ-
কোন প্রতিষ্ঠানের কাজ ঐ প্রতিষ্ঠান নিজে না করে তৃতীয় কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে করিয়ে নেওয়ার পদ্ধতি  আউটসোর্সিং নামে পরিচিত।
১৩। ফ্রিল্যান্সার ও ফ্রিল্যান্সিং কী?  
উত্তরঃ-
ফ্রিল্যান্সার এমন একজন ব্যক্তি যিনি কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে দীর্ঘস্থায়ী চুক্তি ছাড়া কাজ করেন। আর এই ধরনের কাজকে ফ্রিল্যান্সিং বলে।
১৪। ই-লার্নিং বা ডিসটেন্স লার্নিং কী?  
উত্তরঃ-
ই-লার্নিং এর পূর্ণরূপ হলো ইলেক্ট্রনিক লার্নিং(Electronic Learning)। এই পদ্ধতিতে পাঠদানের জন্য ইন্টারনেট, ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক কিংবা টিভি চ্যানেল, কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। ই-লার্নিং সনাতন পাঠদান পদ্ধতির বিকল্প নয় বরং পরিপূরক মাত্র।
১৫। EHR কী? 
উত্তরঃ-
EHR এর পূর্ণরূপ হলো Electronic Health Recordইহা কোন রোগী বা জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়মমাফিক সংগ্রহের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্যের সমাবেশ। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাহায্যে কোন রোগীর বিভিন্ন সময়ে প্রাপ্ত স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্যাবলী ডেটাবেজে সংরক্ষণ করা যায়। 
১৬। টেলিমেডিসিন কী?  
উত্তরঃ-
টেলিমেডিসিন এমন ধরনের সেবা, যা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাহায্যে কোন ভৌগলিক দূরত্বে অবস্থানরত রোগীকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, রোগ নির্ণয় কেন্দ্র, বিশেষায়িত নেটওয়ার্ক ইত্যাদির সমন্বয়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করতে পারে।
১৭। ই-কমার্স কী?  
উত্তরঃ-
ই-কমার্স এর পূর্ণরূপ হলো ইলেক্ট্রনিক কমার্স(Electronic Commerce)। এটি একটি আধুনিক ব্যবসা পদ্ধতি। ইন্টারনেটের কল্যাণে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পণ্য বা সেবা বিনিময় অথবা লেনদেন করার যে প্রযুক্তি তাহা ই-কমার্স নামে পরিচিত।
অর্থাৎ ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনার পদ্ধতিকে ই-কমার্স বলে।
১৮। ব্লগ কী?  
উত্তরঃ-
এক ধরনের বিশেষ ওয়েবসাইট যেখানে কোন বিষয়কে পাঠকের কাছে সুন্দর ভাবে প্রকাশ করা হয় এবং পাঠকের মতামত প্রদানের ব্যবস্থা থাকে। যে ব্লগে লেখালেখি করে তাকে ব্লগার বলা হয়। আর এই ধরনের কাজকে ব্লগিং বলে। সুতরাং ব্লগ হচ্ছে একটি ব্যক্তিকেন্দ্রিক ওয়েবপেইজ বা ওয়েবসাইট।
১৯।  অফিস অটোমেশন কী?  
উত্তরঃ-
তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অফিসের যাবতীয় কার্যক্রম দক্ষতার সাথে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করার প্রক্রিয়াই হচ্ছে অফিস অটোমেশন।
২০। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কী?  
উত্তরঃ-
হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের মাধ্যমে নির্মিত একটি কাল্পনিক পরিবেশ যা বাস্তব নয় কিন্তু বাস্তবের ন্যায় চেতনা উদ্রেগকারী কম্পিউটার নির্ভর প্রযুক্তি। এটি মূলত ত্রিমাত্রিক সিমুলেশন প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরিকৃত।
২১। টেলিপ্রেজেন্স(Telepresence) কী?  
উত্তরঃ-
এক গুচ্ছ প্রযুক্তির সমাহার যা ব্যবহারের ফলে একজন মানুষকে টেলিরোবটিক্স  এর মাধ্যমে তার বাস্তব অবস্থানের পরিবর্তে অন্য কোন জায়গায় উপস্থিত থাকার বাস্তব অনুভূতি জাগায়।
২২। স্মার্ট হোম কী?  
উত্তরঃ-
এমন একটি বাসস্থান ব্যবস্থা যেখানে রিমোট কন্ট্রোলিং বা প্রোগ্রামিং ডিভাইসের সাহায্যে বাড়ির হিটিং-কুলিং সিস্টেম, লাইটিং ও সিকিউরিটি কন্ট্রোল সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
২৩। আইওটি(IoT) কী?  
উত্তরঃ-
IoT এর পূর্ণরূপ হলো ইন্টারনেট অফ থিংস(Internet of Things)। এটি এমন নেটওয়ার্ক যাতে বাহ্যিক বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, গাড়ি, বাড়ি ইত্যাদি সামগ্রী পরস্পর ডেটা সংগ্রহ ও বিনিময় করার জন্য ইলেক্ট্রনিকস, সেন্সর সফটওয়্যার ও নেটওয়ার্ক কানেকটিভিটি অনুবিদ্ধ(Embedded) থাকে। 
২৪। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কী?   
উত্তরঃ-
কম্পিউটার বিজ্ঞানের একটি শাখা হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। মানুষের চিন্তা-ভাবনা সমূহকে কৃত্রিমভাবে কম্পিউটারের মধ্যে রূপ দানের প্রক্রিয়াকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলে। যেমন- রোবট যা মানুষের মতো চিন্তা এবং বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করতে পারে।
২৬।  কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রকারভেদ কর।    
উত্তরঃ-
মানুষের চিন্তা-ভাবনা সমূহকে কৃত্রিমভাবে কম্পিউটারের মধ্যে রূপ দানের প্রক্রিয়াকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলে। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়।
  • ANI বা Artificial Narrow Intelligence:- এই ধরনের বুদ্ধি সম্পন্ন যন্ত্র নির্দিষ্ট একটি কাজে দক্ষ। ANI কে  Weak Artificial Intelligence ও বলা হয়।
  • AGI বা Artificial General Intelligence:- এই ধরনের বুদ্ধি সম্পন্ন  যন্ত্র মানুষ যেভাবে চিন্তা করে কাজ করতে সক্ষম, ঠিক সেভাবে কাজ করতে সক্ষম এবং বৈশিষ্ট্যের দিক থেকেও মানুষের মতোই। AGI কে Human level Artificial Intelligence ও বলা হয়।
  • ASI বা Artificial Super Intelligence:- মানুষের চেয়ে বেশি বুদ্ধিমত্তা থাকলে তখন তাকে ASI বলা হয়।
২৬। এক্সপার্ট সিস্টেম কী?   
উত্তরঃ-
এক্সপার্ট সিস্টেম হলো এমন একটি সিস্টেম বা সফটওয়্যার যার ফলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে কোনো জটিল বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়।
২৭। ইনটেলিজেন্ট এজেন্ট কী?   
উত্তরঃ-
এমন একটি সিস্টেমকে বুঝায় যা চারপাশ পর্যবেক্ষণ করে সর্বোচ্চ সাফল্য পাওয়ার লক্ষ্যে যে ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা দরকার সে অনুসারে কার্য পরিচালনা করে।
২৮। রোবটিক্স কী?   
উত্তরঃ-
প্রযুক্তির যে শাখায় রোবটের নকশা, গঠন ও কাজ সম্পর্কে আলোচনা করা হয় সেই শাখাকে রোবটিক্স বলা হয়।
২৯। রোবটিক্সের নিয়ম লিখ।   
উত্তরঃ-
বায়োকেমিস্ট্রির অধ্যাপক আইজ্যাক অ্যাসিমভ রোবটিক্সের তিনটি নিয়ম বা আইনের কথা উল্লেখ করেছেন-
নিয়ম-১: রোবট কখনোই মানুষের ক্ষতি করবে না অথবা উদাসীন্যতার মাধ্যমে কাউকে ক্ষতির সুযোগ দিবে না।
নিয়ম-২: নিয়ম-১ মেনে রোবট সবসময় মানুষের নির্দেশ পালন করে।
নিয়ম-৩: রোবট অবশ্যই তার নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখবে যতক্ষণ নিয়ম-১ এবং নিয়ম-২  মেনে চলবে। মানব কল্যাণে রোবট তৈরি করা হয়।
৩০। রোবট কী?    
উত্তরঃ-
রোবট হলো কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত একটি যন্ত্র যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মানুষ যেভাবে কাজ করে সেভাবে কাজ করতে সক্ষম অথবা এর কাজের ধরন দেখে মনে হবে তার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আছে।
৩১। ক্রায়োসার্জারি কী?   
উত্তরঃ-
একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে অধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগ করে ত্বকের অস্বাভাবিক ও রোগাক্রান্ত কোষ বা টিস্যু ধ্বংস করা হয়।
৩২। ক্রায়োথেরাপি কী?   
উত্তরঃ-
একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে অধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগ করে ত্বকের অস্বাভাবিক ও রোগাক্রান্ত কোষ বা টিস্যু ধ্বংস করা হয়। ক্রায়োসার্জারি কৌশল প্রয়োগ করে চিকিৎসা সম্পন্ন  করার পদ্ধতি ক্রায়োথেরাপি নামে পরিচিত।
৩৩। ক্রায়োপ্রোব কী?   
উত্তরঃ-
একটি যন্ত্র যা সূচালো নলের সমন্বয়ে তৈরি এবং এর দ্বারা তরল নাইট্রোজেন, কার্বন-ডাই-অক্সাইড, আর্গন, হিলিয়াম ইত্যাদি ব্যবহার করে ক্রায়োসার্জারি চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পন্ন করা হয়।
৩৪। ড্রোন কী?   
উত্তরঃ-
ড্রোন হচ্ছে এমন এক ধরনের বিমান যা পাইলটের অবর্তমানে চলতে সক্ষম। বর্তমানে এই ধরনের মনুষ্যবিহীন বিমান যুদ্ধক্ষেত্রে, সিনেমার শুটিং, সরাসরি সম্প্রচারকৃত খেলায় সহ বিভিন্ন কাজে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ড্রোনে ব্যবহৃত প্রযুক্তি হচ্ছে Unnamed Aerial Vehicle (UAV)। UAV দুই ধরনের- সাধারণ UAV  এবং সামরিক UAV
৩৫। পূর্ণরূপ লিখঃ- NASA, PLC, CAD, CAE, CAM, CNC, MRP, UAV, GPS,   
উত্তরঃ-
NASA: National Aeronautics and Space Administration
PLC: Programmable Logic Controller
CAD: Computer Aided Design
CAE: Computer Aided Engineering
CAM: Computer Aided Manufacturing
CNC: Computerized Numerical Control
MRP: Manufacturing Requirement Planning
UAV: Unmanned aerial vehicle
GPS: Global positioning system
GSM: Global System for Mobile Communication
৩৬। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ কী?   
উত্তরঃ-
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম ভূ-স্থির যোগাযোগের কৃত্রিম উপগ্রহ। এই স্যাটেলাইটের ফলে-
  • DTH ডিজিটাল টেলিভিশন, রেডিও এবং সংশ্লিষ্ট ডেটা খুব দ্রুত ছোট অ্যানটেনাগুলোয় সরবরাহ করবে।
  • প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট ও ব্যাংকিং সেবা, টেলিমেডিসিন ও E-Learning ব্যবস্থার প্রসার সম্ভব।
  • যেকোনো বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে মোবাইলের নেটওয়ার্ক সচল রাখবে।
৩৭। বায়োমেট্রিক্স কী?   
উত্তরঃ-
এমন একটি প্রযুক্তি যার সাহায্যে মানুষের দৈহিক গঠনগত ও আচরণগত বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে অদ্বিতীয় ভাবে চিহ্নিতকরণ সম্ভব।
৩৮। DNA রিকোগনিশন কী?   
উত্তরঃ-
স্ট্রাকচারাল জীববিজ্ঞানের ক্ষেত্রে DNA, RNA ও বিভিন্ন প্রোটিনের গঠন ও আন্তঃসম্পর্ক বিশ্লেষণ করা হয়। এক্ষেত্রে ব্যক্তির দেহ কোষ থেকে DNA আহরণ করা হয়। তারপর নির্দিষ্ট কিছু অ্যালগরিদম ব্যবহার করে ঐ ব্যক্তির DNA ফিঙ্গার প্রিন্ট তৈরি করা হয়। তারপর ফিঙ্গার প্রিন্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করে যে কোন ব্যক্তিকে শনাক্তকরণ সম্ভব।
৩৯। ভয়েস রিকগনিশন কী?   
উত্তরঃ-
ব্যক্তির কণ্ঠস্বর, শব্দের সুর, কণ্ঠস্বরের উত্থান-পতন, উচ্চারিত শব্দের মাত্রা ইত্যাদি বিশ্লেষণের মাধ্যমে ঐ ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়।
৪০। হ্যান্ড জিওমেট্রি কী?
উত্তরঃ-
মানুষের হাতের জ্যামিতিক গঠন, হাতের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, পুরুত্ব, আকৃতি ইত্যাদি ইনপুট হিসেবে নিয়ে কম্পিউটারে বিশ্লেষণ করে মানুষকে অদ্বিতীয় ভাবে শনাক্তকরণ পদ্ধতি।
৪১। বায়োইনফরমেটিক্স কী?   
উত্তরঃ-
এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে বায়োলজিক্যাল ডেটা বিশ্লেষণের জন্য ফলিত গণিত, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, তথ্য বিজ্ঞান, কম্পিউটার বিজ্ঞান, রসায়ন এবং জৈব রসায়ন ব্যবহার করে জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন সমস্যাসমূহ সমাধান করে। অর্থাৎ জীব সংক্রান্ত তথ্য ব্যবস্থাপনার কাজে কম্পিউটার প্রযুক্তির প্রয়োগই হলো বায়োইনফরমেটিক্স।
৪২। বায়োইনফরমেটিক্স-এ ব্যবহৃত সফটওয়্যার সমূহ কী কী?   
উত্তরঃ-
  • ডেটাবেজ সিস্টেম এবং ইনফরমেশন সিস্টেম।
  • কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডেটা মাইনিং।
  • ইমেজ প্রসেসিং এবং সিমুলেশন অ্যালগরিদম।
  • C, C++, XHTML, Java, Python, Spreadsheet applications(MS-Excel), MATLAB, SQL।
৪৩। ড্রাই ল্যাব  কী?   
উত্তরঃ-
যখন কোন জৈব তথ্য নিয়ে তা কম্পিউটারে বিশ্লেষণ বা গবেষণা করা হয়, তখন তাকে ড্রাই ল্যাব বলে।
৪৪। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কী?   
উত্তরঃ-
যে বিশেষ ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেকনোলজি ব্যবহার করে জীবের বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করা হয়, তাহাই জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং নামে পরিচিত।
৪৫। জীন(Gene) কী?   
উত্তরঃ-
জীন হচ্ছে জীবের বৈশিষ্ট্য নির্দেশকারী উপাদান। এই জীন দ্বারা সকল জীবের বৈশিষ্ট্য কি হবে সেটা নির্ধারণ হয়ে থাকে।
৪৬। আণবিক কাঁচি কী?   
উত্তরঃ-
DNA এর কোন অংশ কেটে নেওয়ার জন্য এক ধরনের এনজাইম ব্যবহার করা হয়। যা রেস্ট্রিকশন এনজাইম(Restriction enzyme) নামে পরিচিত। এই এনজাইমকে ‘আণবিক কাঁচি’ বলেও অভিহিত করা হয়। 
৪৭। GMO কী?   
উত্তরঃ-
যদি কোন প্রাণীর দেহে DNA রিকম্বিনেশনের মাধ্যমে নতুন বৈশিষ্ট্য প্রদান করা হয়, তখন নতুন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন প্রাণীকে Genetically Modified Organism সংক্ষেপে GMO বলে।
৪৮। ন্যানো টেকনোলজি কী?   
উত্তরঃ-
কোন একটি বস্তুর কার্যক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কোনো বিশেষ প্রযুক্তি বা যন্ত্র ব্যবহার করে অণু বা পরমাণু সমূহকে ন্যানো-মিটার স্কেলে পরিবর্তন করা হয় তখন সেই প্রযুক্তি বা টেকনোলজিকে ন্যানো টেকনোলজি বলা হয়।
৪৯। “বটম-আপ” এবং “টপ-ডাউন” কী?   
উত্তরঃ-
টপ-ডাউন বা (Top-Down): এই প্রযুক্তির ব্যবহার করে বড় কোন কিছুকে কেটে ছোট করে নির্দিষ্ট আকার দেওয়া হয়। এক সময় কম্পিউটার ছিল অনেক বড়। এখন কম্পিউটারের আকার ছোট হয়ে এসেছে ন্যানো প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে।
বটম-আপ বা (Bottom-Up): এই পদ্ধতিতে ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র আকারের ছোট জিনিস দিয়ে বড় আকারের কোন জিনিস তৈরি সম্ভব।
৫০। টীকা লিখ- সফটওয়্যার পাইরেসি, সাইবার ক্রাইম, হ্যাকিং, স্প্যামিং, সাইবার চুরি, সাইবার বুলি, স্পুফিং, ফিশিং ও ভিশিং, স্নিকিং, প্লেজিয়ারিজম।     
উত্তরঃ-
  • সফটওয়্যার পাইরেসি(Software Piracy): কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উন্নয়নকৃত বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ঐ ব্যক্তির বা প্রতিষ্ঠানের অনুমতি ব্যতীত নকল বা কপিকরাকে সফটওয়্যার পাইরেসি বলে।
  • সাইবার সন্ত্রাস(Cyber bully/Crime): তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে কিছু করতে বাধ্য করা হলে, তাকে সাইবার সন্ত্রাস বলে।
  • হ্যাকিং(Hacking): অনুমতি ব্যতীত কারো ব্যক্তিগত কম্পিউটার নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে, পুরো কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ নিজের করে নেয়াকে হ্যাকিং বলা হয়।
  • স্প্যামিং(Spamming): মানুষের ইমেইল আইডিতে মাঝে মাঝেই অচেনা ও অপ্রয়োজনীয় ই-মেইল এসে বিরক্তির উদ্দ্রেগ ঘটায়। এই ধরনের মেইলকে স্প্যাম মেইল বলে। সাধারণত Hi, Hello, How are u? এই ভাবে মেইল সমূহ পাঠানো হয়।  এভাবে শত শত মেইল প্রেরণের মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মেইল অ্যাড্রেসের মেমোরি দখল করে। ইহা স্প্যামিং নামে পরিচিত।
  • সাইবার চুরি(Cyber Theft): অনলাইনে কোন নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে কোন ব্যক্তির তথ্য নিয়ে পরবর্তীতে সেই তথ্য সমূহ ব্যবহার করে সাইবার অপরাধ সংঘটিত হয়। এক্ষেত্রে ব্যাংক জালিয়াতি করে মানুষের অর্থ আত্মসাৎ করা সম্ভব।
  • স্পুফিং(Spoofing): স্পুফিং শব্দের অর্থ প্রতারণা বা ধোঁকা দেয়া। যখন কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের তথ্য ভূল ভাবে উপস্থাপন করা হয় তখন যেকোনো নেটওয়ার্ক বিভ্রান্ত হতে পারে। ফলে নেটওয়ার্ক থেকে যে কেউ অনৈতিকভাবে সুবিধা গ্রহণ করতে পারে।
  • ফিশিং এবং ভিশিং(phishing and Vishing): ফিশিং হচ্ছে এক ধরনের প্রতারণা। নিজের পরিচয় গোপন করে বিশ্বস্ত কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহারের মাধ্যমে কারো গুরুত্বপূর্ণ বা গোপন তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার জন্য ব্যবহৃত প্রযুক্তি।
  • প্লেজিয়ারিজম(Plagiarism): অন্যের লেখা বা গবেষণা প্রবন্ধ নিজের নামে চালিয়ে দেওয়াকে প্লেজিয়ারিজম বলে। এক্ষেত্রে প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা হয় না।


অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তরঃ-

১। ” তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগ প্রযুক্তি একে অপরের পরিপূরক”-ব্যাখ্যা কর।   
উত্তরঃ-
বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নয়নের ফলে মানুষের বিভিন্ন চাহিদা পূরণ হচ্ছে। আর এই সকল সুবিধা ভোগ করার জন্য তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে একীভূত করা হয়েছে। কারণ এই দুই প্রযুক্তির মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে।একটি প্রযুক্তি ছাড়া অন্য প্রযুক্তিকে কল্পনা করা যায় না। তবে এই তথ্য প্রযুক্তি এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি একে অপরের পরিপূরক নয় বরং একটি অন্যটির সমার্থক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
২। “তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বই বিশ্বগ্রাম”-ব্যাখ্যা কর।   
উত্তরঃ-
বিশ্বগ্রাম হচ্ছে এমন একটি সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক কমিউনিটি যার সকল সদস্য ইন্টারনেট তথা যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নতির ফলে বসবাসযোগ্য পৃথিবী ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে, যেন একটি গ্রামে পরিণত হচ্ছে। যার প্রধান সহায়ক শক্তি হচ্ছে ইন্টারনেট। এই ইন্টারনেট ব্যবহার করে সকল মানুষ তাদের বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে।
৩। “বিশ্বগ্রামের মেরুদণ্ড হচ্ছে কানেকটিভিটি”-ব্যাখ্যা কর।   
উত্তরঃ-
কানেকটিভিটি বলতে মূলত ইন্টারনেট সংযোগকে বুঝায়। অনেকগুলো কম্পিউটারের সমষ্টিতে গঠিত নেটওয়ার্ক যা বিশ্বের প্রতিটি গ্রাম বা শহরকে যুক্ত করে। মানুষ যেকোনো স্থানে অবস্থান করেও সবসময় মোবাইল বা কম্পিউটারে ইন্টারনেটের মাধমে সংযুক্ত থাকতে পারে। বিশ্বের তথ্য ভাণ্ডারের সাথে সার্বক্ষণিক যুক্ত থেকে তথ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য কানেক্টিভিটি মূল ভূমিকা পালন করে।
৪। বিশ্বগ্রাম কীভাবে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধন করেছে?  
উত্তরঃ-
৫। “শিক্ষিত প্রতিবন্দীদের জন্য আউটসোর্সিং একটি আশীর্বাদ”-ব্যাখ্যা কর।   
উত্তরঃ-
৬। “ই-কমার্স বিশ্বগ্রামের একটি সুফল”/ “ই-কমার্স পণ্য ক্রয়-বিক্রয়কে সহজ করেছে”-ব্যাখ্যা কর।   
উত্তরঃ-
বিশ্বগ্রামের একটি উপাদান হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য। এই ব্যবসা-বাণিজ্য অনেক সহজ করতে ই-কমার্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ই-কমার্স হলো ইলেক্ট্রনিক কমার্স-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোনো পণ্য বা সেবা ক্রয়-বিক্রয় পদ্ধতি ই-কমার্স নামে পরিচিত। বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যের তালিকা, মূল্য ইত্যাদি ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করে থাকেন। ক্রেতারা সেই পণ্য অর্ডার করে এবং অনলাইনের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ করে। এতে গ্রাহকের সময় ও খরচ দুটিই সাশ্রয় হয়।
৭। শিক্ষা ক্ষেত্রে অনলাইন লাইব্রেরির ভূমিকা বুঝিয়ে লিখ।   
উত্তরঃ-
তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে সনাতন পদ্ধতির বইয়ের ডিজিটাল রূপান্তর অনলাইন লাইব্রেরি নামে পরিচিত। যেখানে বিভিন্ন বই একটি ওয়েবসাইটে সংরক্ষণ করা হয়। এসব অনলাইন লাইব্রেরি থেকে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিষয়ের তথ্য সংগ্রহ করে পড়তে এবং বিভিন্ন ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখে সহজে একটা বিষয় বুঝতে পারে।যা তার পাঠ্য বই অধ্যয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
৮। “স্মার্ট হোম ব্যবস্থা আমাদের জীবনকে সহজ করেছে”-ব্যাখ্যা কর।   
উত্তরঃ-
৯। “টেলিমেডিসিন এক ধরনের সেবা”-ব্যাখ্যা কর।   
উত্তরঃ-
টেলিমেডিসিন একটি অনলাইনভিত্তিক চিকিৎসা ব্যবস্থা যার মাধ্যমে দূরে বসেই অর্থাৎ ভিন্ন ভৌগলিক অবস্থানে থেকেও মোবাইল, টেলিফোন কিংবা অন্য কোনো নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা ব্যবহার করে ব্যবহারকারী বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসা সেবা পেতে পারে। এ ব্যবস্থায় রোগী প্রয়োজনীয় মুহূর্তে যেকোনো স্থানে বসেই দেশী বা বিদেশী ডাক্তারের চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারে। এছাড়াও ইন্টারনেটের কল্যাণে ভিডিও কনফারেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে এক দেশের চিকিৎসক অন্য দেশের চিকিৎসকের সাথে সহজেই যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নয়নে কাজ করতে সক্ষম হয়।
১০। “ঘরে বসেই বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব”-ব্যাখ্যা কর।   
উত্তরঃ-
অনলাইন মার্কেট প্লেসের হাজার হাজার কাজ থেকে নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী নির্দিষ্ট কোনো কাজ খুঁজে নেওয়া এবং সেটি সম্পাদন করে অনলাইনে আয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে একমাত্র আউটসোর্সিং।আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে ঘরে বসেই বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব। শুধু বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনই নয় আউটসোর্সিং এর ফলে উন্নয়নশীল দেশের বিপুল সংখ্যক জনগণের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
১১। “বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপদ ড্রাইভিং সম্ভব”-ব্যাখ্যা কর।   
উত্তরঃ-
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপদে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা সম্ভব। ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে ব্যবহারকারী একটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে নিজেকে আবিষ্কার করার জন্য বিভিন্ন ডিভাইস যেমন- গ্লোভস, হেডসেট, চশমা ইত্যাদি পরিধান করে। ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য ব্যবহারকারী একটি ত্রিমাত্রিক স্ক্রিন সম্বলিত হেলমেট পরিধান করে বাস্তব থেকে অনুকরণকৃত ছবি দেখে। যা একটি গতি নিয়ন্ত্রণকারী সেন্সর দ্বারা প্রভাবিত। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে নিরাপদে ঘরে বসে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ গ্রহণ অনেক সহজ ও ঝুঁকি বিহীন।
১২। “বাস্তবে অবস্থান করেও কল্পনাকে ছুঁয়ে দেয়া সম্ভব”-ব্যাখ্যা কর।   
উত্তরঃ-
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তির মাধ্যমে উক্তিটির বাস্তবতা পরিলক্ষিত হয়। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি একটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ যেখানে ব্যবহারকারী ঐ পরিবেশে মগ্ন হতে, বাস্তবে অবস্থান করে কল্পনাকে ছুঁয়ে দেখতে, সেই সাথে বাস্তবের মতো শ্রবণানুভুতি এবং দৈহিক ও মানসিক ভাবাবেগ, অনুভূতি প্রভৃতির অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে।
১৩। “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এক ধরনের এক্সপার্ট সিস্টেম”-ব্যাখ্যা কর।   
উত্তরঃ-
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হলো মানুষের চিন্তা ভাবনাকে কৃত্রিম উপায়ে যন্ত্রের মধ্যে রূপ দেওয়ার ব্যবস্থা। অপরদিকে এক্সপার্ট সিস্টেম হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি প্রয়োগ। ইহা এক ধরনের কম্পিউটার সিস্টেম যা মানুষের চিন্তা-ভাবনা করার দক্ষতা ও সমস্যা সমাধানের সক্ষমতার সমন্বিত রূপ। তাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এক ধরনের এক্সপার্ট সিস্টেম।
১৪।”যন্ত্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে”-ব্যাখ্যা কর। 
অথবা
¨যন্ত্র মানুষের ন্যায় কাজ করতে সক্ষম”-ব্যাখ্যা কর।  

উত্তরঃ-
তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে বর্তমানে অনেক যন্ত্র আবিষ্কার হয়েছে যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে। এমনই একটি যন্ত্র হচ্ছে রোবট যা অতি দ্রুত, ক্লান্তিহীন এবং নিখুঁত কর্মক্ষম আধুনিক যন্ত্র। কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত এক ধরনের স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র বা যন্ত্রমানব যা মানুষের মতো অনেক দুঃসাধ্য কাজ সম্পন্ন করতে পারে। মানুষ যেমন স্বয়ংক্রিয় ভাবে কাজ করতে পারে ঠিক তদ্রুপ রোবট অনুরূপ আচরণ করতে পারে বলে রোবট স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র বলে পরিচিত।
১৫।”ঝুঁকিপূর্ণ কাজে রোবট ব্যবহৃত হয়”-ব্যাখ্যা কর।    
উত্তরঃ-
কম্পিউটার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত রোবট উদ্ভাবনের ফলে মানুষের কাজ সহজ হয়েছে। রোবট পরিশ্রমসাধ্য, বিপদজনক ও বিরক্তিকর কাজ থেকে মানুষকে মুক্ত করেছে। কারখানার একজন শ্রমিক নিজে হাতে যে পণ্য উৎপাদন করে, তা রোবটের সাহায্যে অতিদ্রুত ও নিখুঁতভাবে করা সম্ভব হচ্ছে। এছাড়াও মাটির নিচে খনিতে বিপদজনক কাজ, ঘর-বাড়ি, অফিস-আদালতের কারখানা পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার একঘেয়েমি কাজগুলো করে রোবট মানুষের কার্যসমূহকে আরও বেশি সহজ ও ঝুঁকিহীন করে তুলেছে।
১৬।”রোবটের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।     
উত্তরঃ-
১৭। রোবটিক্সের ব্যবহৃত উপাদান সমূহ ব্যাখ্যা কর।    
উত্তরঃ-
আকৃতিগত দিক থেকে রোবটের বুদ্ধি অনেকটা মানুষের মতো। তাই মানুষের মতো সকল কার্য সম্পাদনের জন্য কিছু উপাদান ব্যবহার করা হয়।
  • কন্ট্রোল সিস্টেম: রোবটকে কন্ট্রোল করতে হয়।
  • পাওয়ার সিস্টেম: সাধারণত লেড এসিড দিয়ে তৈরি ব্যাটারী ব্যবহার করা হয়। ব্যাটারীটি রিচার্জেবল হয়ে থাকে।
  • অ্যাকচুয়েটর: রোবটের হাত-পা অথবা বিশেষভাবে তৈরিকৃত অঙ্গের নড়াচড়া করার জন্য কতগুলো বৈদ্যুতিক মোটরের সমন্বয়ে তৈরি বিশেষ অবস্থা যা অ্যাকচুয়েটর নামে পরিচিত।
  • অনুভূতি: অনুভূতি হচ্ছে মানুষের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য। মানুষ যেমন চারিদিকে দৃষ্টি রাখতে পারে এই অংশে রোবটকেও চারিদিকে দৃষ্টি রাখার জন্য বিভিন্ন সেন্সর ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে রোবট তার প্রয়োজনে ৩৬০ ডিগ্রী পর্যন্ত সব কিছু দেখতে পারে।
  • মস্তিষ্ক: রোবটের মস্তিষ্ক রোবটকে নিয়ন্ত্রণ করে। আচরণ পরিবর্তনের জন্য রোবটের প্রোগ্রাম পরিবর্তন করতে হয়।
  • ম্যানিপুলেশন: রোবটের চারপাশের কোন বস্তু বা অবস্থার পরিবর্তন প্রক্রিয়া ম্যানিপুলেশন নামে পরিচিত। রোবটের হাত-পা এই ধরনের পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে। পায়ের সাহায্যে রোবট চলাচল করে থাকে এবং হাতের সাহায্যে কোন কিছু স্পর্শ করার সক্ষমতা অর্জন করে।
১৭। “শীতলীকরণ প্রক্রিয়ায় চিকিৎসা করা সম্ভব”-ব্যাখ্যা কর।    
অথবা
¨রক্তপাত বা ব্যথা বিহীন চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ-
শীতলীকরণ প্রক্রিয়ায় রক্তপাত ও ব্যথা বিহীন চিকিৎসা করা সম্ভব যা ক্রায়োসার্জারি নামে পরিচিত। এই চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে অধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগ করে ত্বকের অস্বাভাবিক ও রোগাক্রান্ত কোষ বা টিস্যু ধ্বংস করা হয়। এক্ষেত্রে টিউমার টিস্যুর তাপমাত্রা কমিয়ে -১২০0 থেকে -১৬৫0 সেলসিয়াসে নামিয়ে আনা হয়।
১৮। ব্যক্তি শনাক্তকরণের প্রযুক্তি ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ-
১৯। “ফিঙ্গার প্রিন্ট ব্যবহার করে মানুষকে অদ্বিতীয়ভাবে শনাক্ত করা সম্ভব”-ব্যাখ্যা কর। 
উত্তরঃ
২০। বায়োমেট্রিক্স প্রযুক্তির কোন প্রকারভেদ সবচেয়ে বেশি নিরাপদ এবং প্রায় শতভাগ সফলতা পাওয়া যায়?কেন? 
উত্তরঃ
২১। “বায়োইনফরমেটিক্স কৃষি ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটিয়েছে”-ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ
২২। জীবের বৈশিষ্ট্য পরিবর্তনের মূলনীতি ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ
জীবের বৈশিষ্ট্য পরিবর্তনের জন্য অন্যতম পদ্ধতি হচ্ছে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং। যে বিশেষ ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেকনোলজি ব্যবহার করে জীবের বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করা হয়, তাহাই জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং নামে পরিচিত। নিচে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এ অনুসরণকৃত ধাপ সমূহ ব্যাখ্যা করা হল-
ধাপ-১ কাঙ্ক্ষিত DNA নির্বাচন
এটি রিকম্বিনেট DNA তৈরির প্রথম ধাপ। কাঙ্ক্ষিত DNA-কে শনাক্ত করে প্রথমে কোষ থেকে DNA আলাদা করা হয়।
ধাপ-২ DNA-এর বাহক নির্বাচন
নির্বাচিত DNA কে বহন করতে বাহক হিসেবে E. Coli ব্যাকটেরিয়াকে নির্বাচন করা হয়। DNA-র সাথে যুক্ত করার জন্য এই বাহকের প্লাজমিডকে ব্যবহার করা হয়। ব্যাকটেরিয়ার দেহে সাধারণ DNA ছাড়াও স্বয়ংক্রিয় বৃত্তাকার যে DNA থাকে, তাহাই প্লাজমিড।
ধাপ-৩ DNA অণু কর্তন 
রিকম্বিনেট DNA তৈরি করতে নির্বাচিত DNA থেকে সুবিধামত অংশ (Gene) রেস্ট্রিকশন এনজাইমের সাহায্যে কেটে নেই। DNA অণু কাটার জন্য ব্যবহৃত এনজাইমকে “আণবিক কাঁচি” বলা হয়।
ধাপ-৪ কর্তনকৃত DNA অণু প্রতিস্থাপন
লাইগেজ এনজাইমের সাহায্যে কর্তনকৃত DNA খণ্ডকে বাহক DNA-র নির্দিষ্ট জায়গায় প্রতিস্থাপন করে সংযুক্ত করা হয়।
ধাপ-৫ পোষক দেহ নির্বাচন এবং রিকম্বিনেট DNA স্থানান্তর
বাহকের বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে পোষক দেহ নির্বাচন করতে হয়। রিকম্বিনেট DNA অণুকে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে পোষক ব্যাকটেরিয়ার দেহের অভ্যন্তরে প্রবেশ করানো হয়।
ধাপ-৬ রিকম্বিনেট DNA-র সংখ্যা বৃদ্ধি
রিকম্বিনেট DNA স্থানান্তর করার পর ব্যাকটেরিয়াকে টিস্যু কালচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়ার বংশ বৃদ্ধি ঘটানো হয়। এ সময় নির্বাচিত জিন বহনকারী পাজমিডও পোষক কোষের সংখ্যার আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি পায়।
২৩। কৃষিক্ষেত্রে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রয়োগের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ
কৃষি ক্ষেত্রে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ব্যবহার কে Genetically Modified Crops (GMC) বলা হয়।
  • পরিবেশের বিভিন্ন ধরনের হুমকি থেকে শস্যকে রক্ষা করা।
  • একটি শস্য থেকে সম্পূর্ণ নতুন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন শস্য উপাদান উৎপাদন করা।
  • শস্যের গুণগত মান বৃদ্ধি করা।
  • শস্যের গঠন বৃদ্ধি তরান্বিত করা।
  • শস্যের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
২৪। কীভাবে উন্নত জাতের বীজ তৈরি করা সম্ভব? ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তির ব্যবহার করে উন্নত জাতের বীজ তৈরি করা সম্ভব। নতুন জাতের বীজ তৈরির প্রক্রিয়াটি নিচে ব্যাখ্যা করা হল-
এক্ষেত্রে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হয়। যথা-
ধাপ-১ কাঙ্ক্ষিত DNA নির্বাচন
এটি রিকম্বিনেট DNA তৈরির প্রথম ধাপ। কাঙ্ক্ষিত DNA-কে শনাক্ত করে প্রথমে কোষ থেকে DNA আলাদা করা হয়।
ধাপ-২ DNA-এর বাহক নির্বাচন
নির্বাচিত DNA কে বহন করতে বাহক হিসেবে E. Coli ব্যাকটেরিয়াকে নির্বাচন করা হয়। DNA-র সাথে যুক্ত করার জন্য এই বাহকের প্লাজমিডকে ব্যবহার করা হয়। ব্যাকটেরিয়ার দেহে সাধারণ DNA ছাড়াও স্বয়ংক্রিয় বৃত্তাকার যে DNA থাকে, তাহাই প্লাজমিড।
ধাপ-৩ DNA অণু কর্তন 
রিকম্বিনেট DNA তৈরি করতে নির্বাচিত DNA থেকে সুবিধামত অংশ (Gene) রেস্ট্রিকশন এনজাইমের সাহায্যে কেটে নেই। DNA অণু কাটার জন্য ব্যবহৃত এনজাইমকে “আণবিক কাঁচি” বলা হয়।
ধাপ-৪ কর্তনকৃত DNA অণু প্রতিস্থাপন
লাইগেজ এনজাইমের সাহায্যে কর্তনকৃত DNA খণ্ডকে বাহক DNA-র নির্দিষ্ট জায়গায় প্রতিস্থাপন করে সংযুক্ত করা হয়।
ধাপ-৫ পোষক দেহ নির্বাচন এবং রিকম্বিনেট DNA স্থানান্তর
বাহকের বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে পোষক দেহ নির্বাচন করতে হয়। রিকম্বিনেট DNA অণুকে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে পোষক ব্যাকটেরিয়ার দেহের অভ্যন্তরে প্রবেশ করানো হয়।
ধাপ-৬ রিকম্বিনেট DNA-র সংখ্যা বৃদ্ধি
রিকম্বিনেট DNA স্থানান্তর করার পর ব্যাকটেরিয়াকে টিস্যু কালচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়ার বংশ বৃদ্ধি ঘটানো হয়। এ সময় নির্বাচিত জিন বহনকারী পাজমিডও পোষক কোষের সংখ্যার আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি পায়।
২৫। আণবিক পর্যায়ের গবেষণা প্রযুক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ
কোন কিছুর কার্যক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কোনো বিশেষ প্রযুক্তি বা যন্ত্র ব্যবহার করে অণু বা পরমাণু সমূহকে ন্যানো-মিটার স্কেলে পরিবর্তন করা হয় তখন সেই প্রযুক্তি বা টেকনোলজিকে ন্যানো টেকনোলজি বলা হয়। এই পদ্ধতিতে অণু-পরমাণু নিয়ে গবেষণা করে যন্ত্রের আকার ছোট করা যায়। তাই এই প্রযুক্তিকে আণবিক পর্যায়ের গবেষণা প্রযুক্তিও বলা হয়।

ন্যানো টেকনোলজিতে ব্যবহৃত প্রযুক্তি সমূহ-

এক্ষেত্রে দুই ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়। যথা-
  • টপ টু ডাউন বা (Top-Down): এই প্রযুক্তির ব্যবহার করে বড় কোন কিছুকে কেটে ছোট করে নির্দিষ্ট আকার দেওয়া হয়। এক সময় কম্পিউটার ছিল অনেক বড়। এখন কম্পিউটারের আকার ছোট হয়ে এসেছে ন্যানো প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে।
  • বটম টু আপ বা (Bottom-Up): এই পদ্ধতিতে ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র আকারের ছোট জিনিস দিয়ে বড় আকারের কোন জিনিস তৈরি সম্ভব।
২৬। “ন্যানো প্রযুক্তির ব্যবহার যন্ত্রকে ছোট করে এনেছে”-তোমার মতামত দাও।
উত্তরঃ
২৭। ন্যানো টেকনোলজি কীভাবে মানব স্বাস্থ্য সেবায় ভূমিকা রাখতে পারে? -ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ
২৮। তথ্য প্রযুক্তির নৈতিকতার মূলনীতি ব্যাখ্যা কর। 
উত্তরঃ
২৯। তথ্য ও প্রযুক্তির নৈতিকতা(Ethics) সমূহ ব্যাখ্যা কর।   
উত্তরঃ
৩০। সমাজ জীবনে তথ্য ও প্রযুক্তির প্রভাব ব্যাখ্যা কর।  তথ্য প্রযুক্তির নৈতিকতার মূলনীতি ব্যাখ্যা কর। 
উত্তরঃ
৩১। তথ্য প্রযুক্তি আইনের ধারা-৫৭ লিখ।    
উত্তরঃ-
“(এক) কোনো ব্যক্তি যদি ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উসকানি প্রদান করা হয়, তাহা হইলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ। (দুই) কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন অপরাধ করিলে তিনি অনধিক চৌদ্দ বছর এবং অন্যূন সাত বৎসর কারাদণ্ডে এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।”

No comments:

Post a Comment